শুভ দিন। সবাই ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আজকে অনেকদিন পরে আপনাদের জন্য লিখা শুরু করলাম। কি লিখবো কি লিখবো ভাবছিলাম। তখন মনে হল কিছুদিন আগে আমার কাছে এক ভাইয়ের করা একটি প্রশ্নের উত্তর লিখবো। আশা করছি আপনাদের সবার এটি কাজে লাগবে।
নিজের ওয়েবসাইটকে কিভাবে ব্র্যান্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠা করবো?
খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন এর উত্তর আমার মতন নাদান দেয়ার চেষ্টা করা বাতুলতা তারপরও আমি কি করি তাই শেয়ার করছি যদি আপনার কাজে লাগে।
ডোমেইন নেবার সময় লক্ষ্যনীয় বিষয়
ডোমেইন নেয়ার প্রথমে আপনাকে একটি ছোটো ইউনিক নেম বাছাই করতে হবে। যাতে সহজেই মানুষজন আপনার ডোমেইন নাম মনে রাখতে পারে।
দেখতে হবে আপনার টার্গেটেড ভিজিটর যে যে সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ করে তা সেই নামে খালি রয়েছে কিনা।
ডোমেইন নেয়ার পড়ে কিভাবে ব্র্যান্ডিং করবেন?
#১. আমি ব্লগ কমেন্টে আমার ওয়েবসাইট নাম ইউস করে কমেন্ট করতে চেষ্টা করি। যার ফলে সেম নিসের ব্লগে আমার নেম তাদের ভিসিটর কাছে একটু পরিচিতি পায়।
#২. গেস্ট পোস্ট করলে আমি আমার ওয়েবসাইট নেম লিখার প্রথম ১-২ প্যারাতে অ্যাড করতে চেষ্টা করি। পারলে অ্যাংকর টেক্সট( ব্র্যান্ড অ্যাংকর টেক্সট) দেই না পারলে টেক্সট আকারে রাখি কিন্তু বোল্ড কিংবা আলাদা একটি কালার করে দেই যাতে ঐ ইউআরএল কেউ ওপেন করলে তার চোখ ঐখানে গিয়ে একবার হলেও থামে।
বায়োগ্রাফিতে নিজের ওয়েবসাইট নাম বলি। সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট সাথে সাথে ওয়েবসাইট ইউআরএল অ্যাড করতে ধান্দা করি। মার্কেটার মানে অল্প বিস্তর ধান্দাবাজ (বানীতে মাহবুব ও শুভ ভাই)।
#৩. হ্যাস ট্যাগ ইউস করি নিজের ওয়েবসাইটের নামে যেমন #kaziaminulislam #আপনারনিস #এক্সপার্টরিভিউ এইধরনের।
#৪. ইনফোগ্রাফিক্সে আমার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ইউজার নেম অ্যাড করে দেই।
#৫. সোশ্যাল অ্যাকাউন্টকে বুস্ট করি। যাতে যারা সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর তাদের সামনে নিউ হলে পৌঁছে যেতে পারি।
#৬. আমি ভিডিও মার্কেটিং করি। ভাবছেন কিভাবে আমি ভিডিও বানাই তাতে করে আমি যারা ভিডিও ওয়েবসাইট যেমন ইউটিউব, ডেলি মোশন, ভিমিও ইত্যাদি ইউস করে তারা জানি আমার ব্র্যান্ড কে শজে খুজে পেতে পারে।
ভিডিও করার ক্ষেত্রে আমি প্রথমদিকে কিছু ফানি ফানি ক্লিপ বানাই ও অ্যাডওয়ার্ডস অ্যাড দেই। সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার দিয়ে তা প্রমোশন চালাই। যাতে আমি ভাল কিছু ফ্যান ফলোয়ার ও সাবস্ক্রাইবার পেয়ে যাই। বলে রাখা দরকার ভিডিও সাইজ ৯০ সেকেন্ডের মাঝে রাখতে চেষ্টা করি।
#৭. আমি অ্যাডওয়ার্ডস কম সিপিসির কিওয়ার্ডস যাচাই বাছাই করে অল্প করে অ্যাড দিয়ে থাকি।
#৮. প্রশ্ন উত্তর ওয়েবসাইটে আমার ব্র্যান্ড নাম দিয়ে অ্যাকাউন্ট ওপেন করে অ্যাক্টিভ থাকি। এই সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তরে আমার ব্র্যান্ডের কথা ১- বার টেনে নিয়ে আসবো। নিজের ব্র্যান্ডকে অ্যাংকর না করা গেলে আলাদা কালার করে দেই।
#৯. ফোরাম ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাক্টিভ থাকি। প্রথম দিকে নিজের ওয়েবসাইট লিংক দেই না। যখন সিগনেচার দিবার অনুমোদন পাওয়া যায় তখন অটো আমার সিগনেচার সবাই দেখলেই ব্র্যান্ডিং হবে। তবে অ্যাংকর না করে এমনিতেই আমার ব্র্যান্ড কথা লিখে দেই বোল্ড ইটালিক করে।
#১০. টাকা পয়সা বেশি থাকলে প্রতিযোগতার আয়োজন করতে পারেন। সার্ভে করতে পারেন। এতে আপনি ভাল সাড়া পাবেন। বলে রাখি আমার শত্রু এই অকাজ করছে।
#১১. গুগল অ্যালারট ইউস করি সেইখানে কেউ নিউ আমার টপিকে পোস্ট করলে তার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ধান্দা করি। যাতে তার মাধ্যমে আমি আমার ব্র্যান্ডকে পরিচিত করতে পারি।
#১২. গুগল অ্যালারট ইউস করি সেইখানে বলি কেউ আমার ব্র্যান্ড কে লিখলেই জানি আমাকে নোটিফিকেসন দেয়। তারপর সেইখানে গিয়ে আমি তাকে লিংক রিক্লেম করি। যার ফলে যারা নিউ আমাকে দেখবে তারা আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করার সুযোগ পাবে ও একটি ব্র্যান্ড অ্যাংকর টেক্সট লিংক পেলাম।
যাহোক, আশা করছি আপনারা এবার বুঝতে পারছেন যে আমি কিভাবে ব্র্যান্ডিং করেতে চেষ্টা করি আমার ওয়েবসাইটের ।ব্র্যান্ডিং নিয়ে আপনি কি করেন তাতে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। সবার সাথে আবার কথা হবে সেই প্রত্যাশায় আজকের লিখার ইতি টানছি। ধন্যবাদ